বাসস
  ২৭ জুন ২০২৫, ২০:৫০

কুলাউড়ায় হত্যার শিকার আনজুমের বাড়িতে জামায়াতের আমির 

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কুলাউড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার নাফিজা জান্নাত আনজুমের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি আজ শুক্রবার আনজুমের গ্রামের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি বলেন, এই নিষ্পাপ মেয়েটিকে হত্যা করে তার পরিবারের উপর যে জুলুম করা হলো, তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। 

বাড়ির আঙ্গিনায় এলাকার শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জনতা শ্লোগান দেয় ‘আনজুম হত্যাকারীর ফাঁসি চাই, দিতে হবে’। এ সময় জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা এ নির্মম হত্যার বিচার চাই। এ মামলাটিকে প্রভাবিত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল জালিমের পক্ষ নিয়েছে। যদি তাই হয় আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের নিয়ে আমরা জালেমের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’ 

তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, পুলিশের কলম যেন ন্যায়ের পক্ষে থাকে, মামলার আইও যাকে নিয়োগ করবে সেই তদন্তকারী কর্মকর্তা যেন কোনো নয়ছয় না করেন।

এ সময় জামায়াতের আমির তার নিজ উপজেলায় মর্মান্তিক হত্যকান্ডের শিকার আনজুমের বাবা খালিক মিয়া, ছোট ভাই ও শিশু বোনের সঙ্গে কথা বলেন ও শান্তনা দেন। 

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন কুলাউড়া উপজেলা সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম খান ও আলাউদ্দিন, ছাত্রশিবির উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক। 

আরও বক্তব্য রাখেন গাংগুল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ আলী, সাবেক উপজেলা আমির আব্দুল হামিদ খান, উপজেলা শূরা সদস্য রাজানুর রহিম ইফতেখার, মৌলভীবাজার জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আজিজ আহমদ কিবরিয়া, ব্রাহ্মণ বাজার ইউনিয়ন সভাপতি হাসান আলী। 

জামায়াত আমির আনজুমের বাড়ির পাশে দাউদপুর জামে মসজিদের পশ্চিমে অবস্থিত সবুজে ঘেরা কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করেন ও মোনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন সকাল ৭টার দিকে শিক্ষার্থী আনজুম পাশ্ববর্তী সিংগুর গ্রামে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে ও শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের  শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১৪ জুন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জুনেল মিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে জুনেল কারাগারে রয়েছেন।