বাসস
  ২৬ জুন ২০২৫, ২১:০২

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ বিশেষজ্ঞদের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ ২০২৫ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেছেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধান ও পরিবেশ রক্ষার মূল চাবিকাঠি।

আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কনফারেন্স কক্ষে ‘কঠিন বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও  করণীয় ’ শীর্ষক থিমেটিক সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর অগ্রগতি আনতে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে হবে: গণসচেতনতা, প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন। 

স্বাগত বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, বর্জ্য সমস্যার সমাধান শুধু ডাস্টবিন স্থাপনে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে হলে সবার আগে আমাদের আচরণ বদলাতে হবে, অন্যকে উৎসাহ দিতে হবে, আর পুনর্ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সোহরাব আলি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্ট গভর্ন্যান্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন সুলতানা লীরা বলেন, সহযোগিতা, সমন্বয় ও যৌথ উদ্যোগ-এটাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় টেকসই সমাধান ও পরিবেশ রক্ষার মূল চাবিকাঠি।

কঠিন বর্জ্যের টেকসই ব্যবস্থাপনা : চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয়শীর্ষক থিমেটিক সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গো ফর ইমপ্যাক্ট, ওয়াটারএইড এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের  টিম লিডার সাঈফ মনজুর-আল-ইসলাম। 

সেমিনারে আরও তিনটি উপস্থাপনায় প্লাস্টিক, জৈব এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বিপিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদেম মাহমুদ ইউসুফ, সুইস রেডক্রসের  টেকনিক্যাল ম্যানেজার কমলেন্দু দাস এবং ও ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারপার্সন ড. মো. মোস্তফা আকবর। 

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক প্যানেল আলোচনায় আলোচনায় অংশ নেন: রাজিনারা বেগম, ড: তারিক বিন ইউসুফ, সুমাইয়া তাবাসসুম আহমেদ, আবরার জাহিন রেইন এবং  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পার্থ হেফাজ শেখ। 

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায়, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং অংশীদার সংস্থাসমূহ- সুইস রেড ক্রস, বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (বিপিসিএল), ডব্লিউইইই সোসাইটি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) যৌথভাবে এই সেশনটি আয়োজন করে।