ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৫ (বাসস): মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ঋণ বিতরণ ও গ্রহণে অনিয়ম, অর্থ পাচারসহ নানাবিধ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আজ বুধবার এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কোম্পানির গঠন কাঠামো, আর্থিক লেনদেন, ঋণ প্রদান ও গ্রহণের নিয়মাবলি এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে। অভিযানের সময় কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, হিসাব-বিবরণী, ঋণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম সংগৃহীত নথিপত্র ও তথ্যাদি বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা ও প্রকৃতি নিরূপণ করে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ওষুধ ক্রয় ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা প্রথমে ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে ও চিকিৎসা সেবা নিতে আগত রোগীদের সাথে কথা বলে। 

রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  হাসপাতালের ট্রলি ব্যবহারের জন্য ট্রলিম্যানদের ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রাইভেট এম্বুলেন্সের দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গেছে। পরবর্তীতে টিম হাসপাতালের সেন্ট্রাল স্টোরে অভিযান পরিচালনা করে এবং ওষুধ ক্রয় সংক্রান্ত স্টক রেজিস্টার পর্যালোচনা করেছে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানকালে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়া, রংপুর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার (বর্তমানে- পীরগাছা সাব-রেজিস্ট্রার) এর বিরুদ্ধে ‘মুজিবনগর কর্মচারী' হিসেবে জাল সনদ সৃজনপূর্বক চাকরি গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে পীরগাছা সাব-রেজিস্ট্রারকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। অফিসের কর্মচারীরা জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। তার চাকুরি সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র অভিযানকালে পাওয়া যায়নি। তিনি জাল সনদে চাকরি পেয়েছেন কিনা সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক যাচাইয়ের আলোকে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।