শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এক হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেন নোবেলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন।
শুনানিতে নোবেল ও মামলার বাদি উভয়েই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদি জানান, নোবেল জামিনে মুক্তি পেলে তার কোনো আপত্তি নেই। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোবেলের আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নোবেল গত ২০ মে থেকে কারাগারে আটক আছেন। বাদি ও আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহের অঙ্গীকারনামাও সম্পাদিত হয়েছে। বাদির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর হলে তিনি আপত্তি করবেন না। জামিনের পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
এর আগে ১৮ জুন আদালত উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করে আদালতকে অবহিত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এই আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার।
গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২০ মে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যয়নকালে বাদি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে গায়ক নোবেলের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে ফোনালাপের মাধ্যমে দুজনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়।
২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল বাদিকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। পরে তিনি ওই বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে, অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের সহায়তায় তাকে একটি রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন নোবেল।
পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে বাসায় থাকতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে তাকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে আরেকটি কক্ষে নিয়ে আটক করে রাখা হয়। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বাদির পরিবার মেয়েটিকে শনাক্ত করে।
বাদির বাবা-মা জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন এবং নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।