শিরোনাম
ঢাকা, ৫ জুন, ২০২৫ (বাসস): আগামী ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী, ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ ও সারিয়াকান্দি স্টেশনে নদ-নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় সুরমা-কুশিয়ারা এবং সুনামগঞ্জ জেলায় কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল কমছে। তবে, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী তিনদিনে (৭২ ঘণ্টা) নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে, যমুনা নদীর পানি সমতল বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে যা পরবর্তী ৪ দিনে হ্রাস পেতে পারে।
আজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এ সময়ে নদ ও নদীসমূহ কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার হাতিয়া, চিলমারী, কামারজানি ও ফুলঝড়ি স্টেশন সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বাড়ছে যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
দেশের ১১৬টি পানি সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৬৯টিতে নদীর পানি সমতল বেড়েছে, ৪৪টি স্টেশনে পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪ স্টেশনে। পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টি স্টেশনে।