শিরোনাম
ঢাকা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেছেন, পঞ্চম বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শিগগিরই আরো বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে। সেখানে চলচ্চিত্রের আরো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রাখা হবে।
তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাই।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৫ দিনব্যাপী ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন।
প্রদর্শিত চলচ্চিত্র থেকে জুরি কমিটির নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পায় ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’, পরিচালক- আসিফ ইউ হামিদ। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পান সালমা সুলতানা আশা, চলচ্চিত্র- ‘সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস’ ও বিশেষ জুরি (কাহিনীচিত্র) পুরস্কার পায় ‘দাঁড়কাক’, পরিচালক- জায়েদ সিদ্দিকী। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পায় ‘ওয়েটিং ফর সিনেমা’, পরিচালক- সাঈদী হাসান রাব্বি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পান সাঈদী হাসান রাব্বি, চলচ্চিত্র- ‘ওয়েটিং ফর সিনেমা’। বিশেষ জুরি (প্রামাণ্যচিত্র) পুরস্কার পায় ‘দ্য স্ক্র্যাপ’, পরিচালক- মাসউদুর রহমান।
এছাড়া উভয় ক্যাটাগরি থেকে সার্বিকভাবে ৪টি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক পুরস্কার পান সাদেকুল ইসলাম জুবায়ের বিল্লাল হোসেন, চলচ্চিত্র- সাইলেন্স ইন দ্য ক্যাওয়াস। শ্রেষ্ঠ সম্পাদকের পুরস্কার পান মো. আজহারুল হক, চলচ্চিত্র- ঘরে ফেরা। শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পকের পুরস্কার পান আহসান আল মিরাজ, চলচ্চিত্র-নেকলেস ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পকের পুরস্কার পান নাজমুল মুহাম্মদ, চলচ্চিত্র-নেকলেস। পুরস্কার এর অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা ১ লাখ টাকা ও বিশেষ জুরি হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
বিশেষ পুরস্কার এর অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটির জন্য ৩০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের প্রদর্শনী সার্টিফিকেটসহ উৎসব স্মারক দেওয়া হয়।
মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, প্রদর্শিত ৩০০টি চলচ্চিত্র থেকে আমাদের সিলেকশন কমিটি বাছাই করে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য সিলেক্ট করে। সবগুলো সিনেমাই অনেক ভালো মানের ছিল। একটি সিনেমা থেকে আরেকটি সিনেমার পার্থক্য খুব বেশি নয়। তারপরও সেখান থেকে বাছাই করে প্রদর্শনযোগ্য সিনেমাগুলো বেছে আনা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসার, বিকাশ এবং মানসম্মত দেশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রক্ষেপন ও অনুধাবন করাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে উৎসবের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করাই এ উৎসবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল।
তিনি বলেন, ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে ২৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। যার মধ্যে ৬০টি ফিকশন ও ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র।
নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহীন দিল-রিয়াজ। এতে উৎসব পরিচালকের বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির এবং উৎসব সমন্বয়ক হিসেবে স্বাগত বক্তৃতা করেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম,প্রডাকশন,সিনেমাটোগ্রাফি) মো. ইকরামুল ইসলাম।