শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীরা গত ২৮ মে তারিখে হাসপাতাল অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সকল সেবাদানকারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিধায় গত ২৮ মে থেকে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেন। বর্তমানে কেবল জুলাই যোদ্ধাগণই হাসপাতালে অবস্থান করছেন। সকল সেবা বন্ধ থাকলেও, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সারাদেশ থেকে আগত চক্ষু রোগীদের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেবা বঞ্চিত সকল রোগীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছে।
উক্ত অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল আহতদের সঙ্গে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। এই মুহূর্তে মন্ত্রণালয় আলোচনার একটি ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশায় আছে।
চিকিৎসাসেবার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই উক্ত হাসপাতালের সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পুনরায় চালু করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।