শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি চায় না জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হোক। জিয়াউর রহমান বিভক্তির রাজনীতি চাননি, তারেক রহমানও ঐক্যের রাজনীতি চান।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া পরিষদের আলোচনা সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
হাতেগোনা কয়েকটি দল নির্বাচন চায় না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৪/৫টি দল এরা কোনও নিবন্ধিত দলও নয়, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই, তারা নির্বাচন চায় না। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও এমন কিংস পার্টি হয়েছিল।
আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই হতে হবে। দেশে কেউ বিনিয়োগ করতে আসলে তারা জিজ্ঞেস করে নির্বাচন কবে। আমরা একটা নির্বাচিত সরকার দেখতে চাই। নির্বাচিত সংসদ দেখতে চাই।
এ সময় বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে অনেক বড় পরিবর্তন এসেছে। এটা যে রাজনীতিবিদ, যে রাজনৈতিক দল অনুধাবন করতে পারবে না, বাংলাদেশে তাদের ভবিষ্যৎ নেই।
বিএনপি ক্ষমতার গেলেও দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত রাখবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকার সময় নেতা-কর্মীরা যেভাবে একটা স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে যুদ্ধ করেছেন, ক্ষমতায় গেলেও সেটা সমুন্নত থাকবে। দেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত রাখবে।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিটি রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন উল্লেখ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু আরও বলেন, দেশের মানুষ, নতুন প্রজন্ম ভবিষ্যৎ দেখতে চায়। তাদের স্বপ্ন দেখাতে হবে, তা বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে— তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, তাহলে কেন বিলম্ব হচ্ছে। আমরা ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন চাই।
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব ড. মো. এমতাজ হোসেন, মাহফুজুল রহমান ফরহাদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল লতিফ প্রমুখ।