শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : আগামীকাল ১ জুন নাগরিক ঐক্যের ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে নাগরিক ঐক্য।
১ জুন সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ‘৫২ থেকে ‘২৪ এর সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। ঈদুল আযহা সন্নিকটে হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঈদের পর জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। জেলা, উপজেলাসহ নাগরিক ঐক্যের সকল ইউনিটকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১ জুন আত্মপ্রকাশ করে নাগরিক ঐক্য। সামাজিক সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও প্রথম থেকেই নাগরিক ঐক্যের কর্মকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক। শুরু থেকেই নাগরিক ঐক্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে ২০১৫ সালে দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে প্রথমে গুম করা হয়, পরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চাপে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ২২ মাস কারাগারে রাখা হয় তাকে। সেসময় দলের আহ্বায়কের মুক্তির দাবিসহ দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিয়ে যান নাগরিক ঐক্যের নেতাকর্মীরা। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও রাজপথে লড়াই শুরু করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১ জুন নাগরিক ঐক্যকে রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাগরিক ঐক্যের লড়াই অব্যাহত আছে।
স্বৈরাচার বিরোধী দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের লড়াইয়ের পরিক্রমায় ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটলেও কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য নাগরিক ঐক্য এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।