বাসস
  ৩০ মে ২০২৫, ১৬:৪১
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ১৮:২১

জুনে নয়, ডিসেম্বরেই নির্বাচন : মির্জা আব্বাস

শুক্রবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুস্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা আব্বাস। ছবি: বাসস

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচন যদি করতে হয় ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। জুন মাসে এই নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই নির্বাচন চেয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে এবং এই ডিসেম্বরের কথা  অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব স্বয়ং বলেছেন। আমরা বলিনি।  এটা তারই প্রস্তাব। পরবর্তীতে তিনি শিফট করে চলে গেলেন জুন মাসে। জুন মাসে এই নির্বাচন কখনো বাংলাদেশে হবে না। সুতরাং নির্বাচন যদি করতে হয় ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে।’

আজ শুক্রবার শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুস্পস্তবক অর্পণের পরে জাপানে প্রধান উপদেষ্টার এক বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘ জাতিকে বিভিন্ন কারণেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করতে হবে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন সংস্কার সংস্কার করতে করতে বর্তমান সরকার বহু লোককে আমদানি করেছেন সংস্কার করার জন্যে। আমি আজকে অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহু সংস্কার করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কিন্তু বিদেশ থেকে কোনো পরামর্শক আনেননি।’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আধুনিক বাংলাদেশের জনক হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা তাঁর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে উনার (জিয়াউর রহমান) জন্য দোয়া কামনা করছি, আল্লাহতায়ালা যেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বেহেস্ত নসিব করেন।’

এর আগে মির্জা আব্বাস দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে আসেন। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং এরপর প্রয়াত নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে এক দল পথভ্রষ্ট সৈনিকের গুলিতে নিহত হন জিয়া। বিএনপি এই দিনটি তার ‘শাহাদত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।