শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫(বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে আসবে। আর এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে তরুণরাই। আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারুণ্যের ভাবনায় সারা দেশে নির্বাচনী আহ্বান জানাতে আজ এখানে এসেছি। জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা ভুলতে বসেছি আওয়ামী সরকারের গুম, খুন ও নির্যাতনের কথা।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা এসেছি দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা চাই আদালতের সুষ্ঠু রায় বাস্তবায়ন হোক। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে সকলকে আহ্বান জানাবো আমরা যেন ঐক্য ধরে রাখি, যাতে দেশে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদের উৎপাত না হয়। আমরা সেরকম রাষ্ট্র সংস্কার চাই যেন রাষ্ট্রে আর কোনো স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব না হয়।
তিনি বলেন, এই দেশে ২০০ বছরের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেভাবে শোষণ করেছিল তার চেয়েও বেশি লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। ৩০ লাখ কোটি টাকার জনগণের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। চার লাখ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ রেখে গেছে। আড়াইহাজার কোটি টাকার মেগা দুর্নীতি করেছে হাসিনার সরকার। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী দুর্নীতির কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী সরকারের লুটপাট বিষয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে কখনোই গণতন্ত্রকে রক্ষা করেনি। যখন ক্ষমতায় গেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল সাড়ে তিনটার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন।
সমাবেশে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে।
এর আগে তরুণদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও দলীয় অবস্থান তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে মে মাস জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চারটি বড় বিভাগীয় শহর ও রাজধানীসহ মোট আট দিনব্যাপী সেমিনার ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন সেমিনার ও তরুণদের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা। আজ চূড়ান্ত আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী ঢাকায়।