বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ২৩:২৯

কোইকা, ডিএনসিআরপি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় জোর দিয়েছে

ছবি: কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): অর্থপূর্ণ সংলাপ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা) এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) আজ যৌথভাবে রাজধানীতে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় সেমিনারের আয়োজন করে।

ডিএনসিআরপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে ভোক্তা কল্যাণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কের ওপর জোর দেয়া হয়। কোইকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এবং কোইকা বাংলাদেশ অফিসের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম জুনসু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এবং ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা ও নিয়ন্ত্রক কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর তিনি জোর দেন।

মহাপরিচালক তার বক্তব্যে ডিএনসিআরপির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোইকার ধারাবাহিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, অন্যদিকে কিম জুনসু টেকসই অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে মানবসম্পদ উন্নয়নের ভূমিকার উপর জোর দেন।

সেমিনারে ডিএনসিআরপির পরিচালক (উপ-সচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ‘ভোক্তা সুরক্ষার উন্নতি ও বিশেষীকরণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি (২০২৩-২০২৫)’ শীর্ষক চলমান কর্মসূচির অধীনে কোইকা ফেলো হিসেবে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

তিনি কোরিয়ায় ভোক্তা প্রতিকার ব্যবস্থা, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি কৌশল সম্পর্কিত বাস্তব শিক্ষাগুলি তুলে ধরেন।

ইভেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে ৮ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন কোইকা ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য তিনজন ঊর্ধ্বতন ডিএনসিআরপির কর্মকর্তাকে মনোনীত করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণে বাজার নজরদারি, যৌথ বিরোধ নিষ্পত্তি, পণ্য মূল্যায়ন এবং ভোক্তা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা (সিসিএম) কাঠামোর কৌশলগত গ্রহণের মতো ক্ষেত্রগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ত্বরান্বিত করতে পারে এবং বাংলাদেশ এবং তার বাইরেও ভোক্তা স্বার্থকে আরও কার্যকরভাবে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে তার ওপর আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানটি উন্নয়ন খাতে কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে এবং জনকেন্দ্রিক সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা এবং জনসেবা সরবরাহকে শক্তিশালী করার জন্য কোইকার প্রতিশ্রুতির অব্যাহত থাকার ওপর জোর দেয়া হয়।