শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যারা নির্ধারণ করবে তারাই আজকের তরুণ প্রজন্ম। আর এই বিষয়টি জানান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদল-যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
একইভাবে তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজকের এই দিনে আমরা তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানাবো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা রাখার জন্য।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের কী ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আপনারা তা জানেন। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারা ভোগ করতে হয়েছে, তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের একজন কর্মীও বাদ যায় নাই যারা জেল খাটে নাই, মামলার শিকার হয় নাই। আর এই নির্যাতনের শেষ হয়েছে ছাত্র যুবকদের আন্দোলনের মাধ্যমে।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারকে সমর্থন ও সাহস দিয়ে প্রত্যাশা করছি অতি দ্রুত সরকার নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু দশ মাস অতিক্রান্ত হলেও আমরা দেখছি জনগণের অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেন অতি দ্রুত নির্বাচন দরকার। কারণ পতিত সরকার দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার ও মামলার বিষয়টিকে নির্বাচনের সঙ্গে কেন যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া টোয়েন্টি থার্টি (২০৩০) ভিশন ঘোষণা করেছেন এবং তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরছেন। অর্থাৎ আমরা সংস্কার নিয়ে সব সময় চিন্তা করেছি। কিন্তু সকল সংস্কার এক কথায় করা যাবে না, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের সংস্কার অতি দ্রুত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তিন অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল সাড়ে তিনটার পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন।
সমাবেশে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলটির নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে।
ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এ সমাবেশ। সমাবেশে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে কয়েক লাখ ছাত্র ও তরুণের জমায়েত হয়।
এর আগে তরুণদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও দলীয় অবস্থান তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে মে মাস জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চারটি বড় বিভাগীয় শহর ও রাজধানীসহ মোট আট দিনব্যাপী সেমিনার ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন সেমিনার ও তরুণদের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা। আজ চূড়ান্ত আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী ঢাকায়।