শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : ‘সুরভি’ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর সহধর্মিনী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় সমাজের অবহেলিত এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ‘সুরভি’ পরিদর্শন করেন ডা. জুবাইদা রহমান। তিনি ‘সুরভি’র কার্যালয়ে প্রবেশ করলে তাকে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় ‘সুরভী’র শিশুরা বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে। পরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন ডা. জুবাইদা রহমান।
এরপর ডা. জুবাইদা রহমান ‘সুরভি’র ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন। এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিবিড়ভাবে কথা বলেন ও নানা প্রশ্ন করে তাদের মনের কথা জেনে নেন।
তাদেরকে কবিতা আবৃত্তি, কুরআন তেলওয়াতসহ বিভিন্ন পারদর্শিতা দেখাতে অনুরোধ করেন। ছাত্রী-ছাত্রীদের তিনি উৎসাহ দেন এবং তাদের লক্ষ্যপূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এরপর ৪৭ বছর ধরে দেশজুড়ে চলা ‘সুরভি’র কর্মকান্ডের আলোকচিত্র ও ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ডা. জুবাইদা রহমান। নিজের মা ও ‘সুরভি’র প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু’র আঁকা ছবিগুলোও পরিদর্শন করেন ডা. জুবাইদা রহমান। ‘সুরভি’র ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনীও উপভোগ করেন ডা. জুবাইদা রহমান।
ডা. জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘সুরভি’র ছাত্র-ছাত্রীরা কুরআন তেলওয়াত, তর্জমা, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থাপনা, গান, নৃত্য ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় পারদর্শী। শিক্ষাদান কর্মসূচি ছাড়াও ‘সুরভি’র ব্যাপক সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ড রয়েছে। যেমন- যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ‘সুরভি’র সদস্যবৃন্দ দেশের দূরদূরান্তে ছুটে যায় আত্মমানবতার সেবায়। দেশের ৪১ জেলায় টিউবওয়েল প্রতিস্থাপন কর্মসূচি, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, মহিলাদের কম্পিউটার ট্রেনিং, উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তিদান কর্মসূচি, মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ, রক্তদান কর্মসূচি দ্বিবার্ষিক, স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রভৃতি।
‘সুরভি’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবু তাহেরসহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারি কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু’র ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা ছিন্নমূল শিশু কিশোরদের প্রতিষ্ঠান সুরভি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে প্রায় ৪০ লক্ষ শিশু-কিশোরদের। তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ‘সুরভি’র প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ‘সুরভি’ একটি বিশ্বাস এবং এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শিশু-কিশোরদের অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোকিত জীবনে উৎসাহিত করা হয়।