শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর আক্রমণ, মসজিদে হামলা, মসজিদ কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের একটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ মে চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত। এরপর ২৬ মে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও কর্তব্যকাজে বাধাদানের একটি মামলায়ও তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের অব্যাহতি প্রাপ্ত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়।
আইনজীবী হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদে হামলা, মসজিদ কমপ্লেক্সে ভাঙচুর, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মোট ছয়টি মামলা হয়। এর মধ্যে আইনজীবী খুনসহ চারটি মামলায় চিন্ময়কে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার দেখানো হয়।