বাসস
  ২৬ মে ২০২৫, ২৩:৫০

'রাজনৈতিক ইতিহাসে কমরেড রনো অমর হয়ে থাকবেন'

ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লেখক কমরেড হায়দার আকবর রনো এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। কমরেড রনো'র শূন্যতা দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে আমরা অনুভব করছি।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে কমরেড হায়দার আকবর খান রনো'র স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

স্মরণসভায় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কেবল নয় মাসের সংগ্রাম ছিলনা। সংগ্রামের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ পেয়েছি। আওয়ামীলীগ ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের জন্য তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। আওয়ামীলীগ যে দর্শনটা দিতে চেয়েছিল তা হলো- উন্নয়ন চাই। উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। এরজন্য চাই সরকারের ধারাবাহিকতা। এভাবে তারা একটি ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন,  আমাদের দেশের বামপন্থীদের মৌলিক রচনার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যায় তবে রনো ভাই এদিক থেকে ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি প্রায় দুই ডজন বই লিখে গেছেন। মাক্সবাদী সুস্পষ্ট চিন্তা ছাড়া আমাদের এ আন্দোলন সফল হবেনা। তার মতো ত্যাগী, নিষ্ঠাবান, সৎ হওয়ার জন্য আগামী দিনে যারা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন করবেন তাদেরকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব আহসান মুন্না বলেন, কমরেড রনো ছিলেন একজন সম্পূর্ণ মানবিক গুণাবলির মানুষ। মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংকটকালীন মুহূর্তে কমরেড রনোর শূন্যতা আমরা অনুভব করছি।

কমরেড হায়দার আকবর খান রনো'র কন্যা রানা সুলতানা বলেন, কমরেড রনো শুধু আমার বাবা ছিলেন না। তিনি ছিলেন আমার কমরেড।

লেখক কমরেড হায়দার আকবর খান রনো'র লেখালেখি নিয়ে কথা বলেছেন তরুণ লেখক তুহিন খান।

তিনি বলেন, কমরেড রনো নিজের বিশ্বাসের প্রতি ছিলেন সৎ। যে কারণে উনি উনার বিশ্বাসের জায়গায় অবিচল ছিলেন শেষ সময় পর্যন্ত। দারুণ উদ্যমী ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি নিষ্ঠার সাথে নিজের কাজ করে গেছেন। রাজনৈতিক সাহিত্য রচনা করে গেছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি তামজিদ হায়দার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার।