বাসস
  ২৬ মে ২০২৫, ২৩:৪৬

সরকারি বাংলা কলেজে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন

ঢাকা (উত্তর), ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে সরকারি বাংলা কলেজে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।

আজ কলেজ অডিটোরিয়ামে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুল হাসান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নাহিদা পারভীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটি-২০২৫ এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মাহবুবা আক্তার।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে যে সর্ম্পক ছিল, তা ছিল শ্রদ্ধা ও স্নেহের এবং ভালোবাসার সর্ম্পক। কবিগুরু নজরুলকে যেমন স্নেহ করতেন, নজরুলও তেমনি তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি আব্বাস উদ্দিনের সাথে কবি নজরুলের সর্ম্পক ও নজরুলের ইসলামী গান ও গজল সৃষ্টিতে আব্বাস উদ্দিনের প্রেরণাকে উল্লেখ করেন।

এছাড়া আমাদের জাতীয় সংগীত ও রণ সংগীতের দুই স্রষ্টাকে তিনি  বিভিন্নরূপে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন।

বিশেষ অতিথি নাহিদা পারভীন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন।

এসময় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হোমায়রা মোর্শেদা আখতার তাঁর লিখিত প্রবন্ধে বলেন, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরিবারের অবদান অপরিসীম। শিল্প, সাহিত্য ও সংগীতের এমন কোন শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথের হাতের স্পর্শ পড়েনি, তিনি ছিলেন কালোত্তীর্ণ একজন প্রতিভা। অন্যদিকে প্রেম ও দ্রোহের কবি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে মানবিকতা, নারী-পুরুষের মধ্যে সাম্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জয়গান গেয়েছেন।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রচনা এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি হয়।