শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (আইবিআরপিডি) এর উদ্যোগে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগের শাসন কাঠামো’ এবং ‘বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং আর্থিক ব্যবস্থা: শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড, মো, কবির আহামদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কবির হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিনস এর ইকোনমিকস এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও প্রখ্যাত ইসলামিক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ কবির হাসান তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামিক ফাইন্যান্সের অগ্রগতির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ইসলামিক ফাইন্যান্সে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি লাভ করেছে মূলত গবেষণার ওপর জোর দেয়ায়। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফাইন্যান্স সংস্থাগুলোর নীতিমালা ও আইনকানুন অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ফাইন্যান্স আইন প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে সেন্ট্রাল শরিয়াহ্ বোর্ড স্থাপন, ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনায় একজন ডেডিকেটেড ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ এবং দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি। এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
সেমিনারে দেশের ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার অগ্রগতি তুলে ধরে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সঠিকভাবে এগোলে পুরো ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকিং ৫০ শতাংশে উন্নীত হতো। এজন্য এ খাতে কর্মরত ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৪ কোটি গ্রাহককে ইসলামি ব্যাংক সম্পর্কিত একাডেমিক জ্ঞানে শিক্ষিত করা জরুরি। এ লক্ষ্যে একটি আলাদা ইনস্টিটিউটের যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক বলেও মত দেন তিনি।
নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক জানান, দেশে ইসলামি ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সের প্রসারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত কাঠামো ও স্বতন্ত্র নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের ইসলামিক ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ডেডিকেটেড ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনার দু'টিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং নীতি নির্ধারকগণ অংশগ্রহণ করেন।