শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী আজ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং আরও গভীর কৌশলগত সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গঠনে সহযোগিতার বিস্তৃত পরিসর তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) কান্ট্রি লেকচার সিরিজ (সিএলএস) এর অংশ হিসেবে তাদের মিলনায়তনে "বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সহযোগিতার পথ" শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দেন এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহায়তা ও অভিন্ন বৈশ্বিক মূল্যবোধের উপর আলোকপাত করে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের বিষয়ে একটি বিস্তৃত সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি উলে¬খ করেন, বাংলাদেশের উৎপাদন ও অবকাঠামো খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বাণিজ্যের পরিমাণ বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাওসাল আজম সরকার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ইফতেখার আনিস স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বিআইআইএসএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির "বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের বিভিন্ন মাত্রা" শীর্ষক একটি বিস্তারিত উপস্থাপনায় প্রযুক্তি স্থানান্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং আঞ্চলিক সংযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে তুলে ধরেছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, শিক্ষাবিদ, বেসরকারি খাত, সশস্ত্র বাহিনী, মিডিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলোচনায় অংশ নেন।
উপস্থাপনার পর আয়োজিত একটি উন্মুক্ত ফোরামে অংশগ্রহণকারীরা গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতিগত সুপারিশ নিয়ে মতবিনিময় করেন।
আলোচনাকালে বাণিজ্য, কূটনীতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।