বাসস
  ২৯ মে ২০২৫, ১২:০১

পতনের মুখে শেয়ারবাজার, বাড়ছে মার্কিন বন্ডের সুদের হার

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজার বুধবার পতনের মুখে পড়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) জায়ান্ট এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় থাকলেও একই সময়ে মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি জানিয়েছে, চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন ছিল সপ্তাহের সবচেয়ে প্রত্যাশিত ঘটনা। কারণ, শেয়ারজবাজারে এআই এ কোম্পানিটির নেতৃত্বের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বুধবার ০.৫ শতাংশ কমে গেছে।

ট্রেজারি বন্ডের সুদের হার সাম্প্রতিক কিছুদিন স্বস্তিদায়ক থাকলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে এই হার বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এর ফলে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ০.৬ শতাংশ কমে ৪২,০৯৮.৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। ব্যাপকভিত্তিক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকও ০.৬ শতাংশ কমে ৫,৮৮৮.৫৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে, আর প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক কম্পোজিট সূচক ০.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৯,১০০.৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সতর্ক করেছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ব্যয় শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপরই পড়বে।

ওই বৈঠকে নীতিনির্ধারকরা মূল সুদের হার ৪.২৫ থেকে ৪.৫০ শতাংশের মধ্যে স্থির রাখার পক্ষে ভোট দেন। কারণ তারা এখনও মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যা এখনও ফেডের দীর্ঘমেয়াদি দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

স্পার্টান ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের পিটার কার্ডিলো বৈঠকের কার্যবিবরণীকে প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাজার বর্তমানে এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন  এবং শুক্রবার প্রকাশিতব্য মূল্যস্ফীতি রিপোর্টের দিকেই নজর রাখছে।

কার্ডিলো আরও বলেন, বাজারের জন্য পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ হবে আজ রাতে এনভিডিয়ার আয় এবং তারপর শুক্রবারের মূল্যস্ফীতি সূচক।

ট্রাম্প প্রশাসন চীনে প্রযুক্তি রপ্তানি বন্ধ করতে বলায় ক্যাডেন্স ডিজাইন সিস্টেম এবং সিনপসিস কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমে গেছে বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেননি।