শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে যাওয়ার উপায় হল নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? তার আগেও এটা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক সরকার-সংসদ গঠন হবে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে, যার জন্য গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। সুতরাং, নির্বাচনই হচ্ছে এখন আলোচনার মুখ্য বিষয়।’
শনিবার ঢাকার নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ইন বাংলাদেশ ডিসকোর্স: ফিলোসফি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোথায় সংকট, আমরা দেশে কোনো সংকট দেখছি না। এখন আলোচনার মূল বিষয় হল নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণ। দেশ যত দ্রুত গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ হবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তাই এ ব্যাপারেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হবে।’
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজার অনেকটা ডিসকানেক্ট। ক্যাপিটাল মার্কেটে ওনারশিপ এখন নেই, ভবিষ্যতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য পলিটিক্যাল ওনারশিপ দরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনো বানানো হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখানে একটি গ্রুপ এসে খেলাধুলা করে চলে যায়। বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলেছে। বাজারের গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। লুটপাট করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে আর লুটপাটের জায়গা নেই। শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ঠেকেছে। বাজারে তারল্য বাড়াতে হবে। বিশ্ববাজার থেকে তারল্য আনতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সব সংস্কার বিএনপি’র আমলে হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে। ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। আমরা কি মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারের পেছনে ঘুরছি।’
অনুষ্ঠানে সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা সম্ভব নয়। অনিয়ম দুর্নীতি করে শাস্তি না পেলে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন, আইসিএমএবি’র সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।