শিরোনাম
ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে তোফাজ্জল হোসেনের ছোট মেয়ের পর তার স্ত্রী মানসুরা বেগম (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে একই পরিবারের তিনজন মারা গেলেন।
আজ বুধবার (২১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার শাওন বিন রহমান জানান, আজ ভোরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল মারা যান, তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার এনহেলিহসন বার্নসহ শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। মানসুরার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন মেয়ে তানিশা ৩০ শতাংশ ও মিথিলার ৬০ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তাদেরও অবস্থা সংকটাপন্ন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মধ্যে রাতে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দ নগর আনসার ক্যাম্প বাজার সংলগ্ন একটি তিনতলা বাসার নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মানসুরা আক্তার (২৮), স্বামী তোফাজ্জল হোসেন (৩২), ৩ মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৮) ও তানজিলা (৪)।
মানসুরার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ রিপন জানান, আমাদের ভাড়া বাড়ির পাশে একটি ভবনে নির্মাণ কাজের পাশাপাশি খোঁড়াখুঁড়ির কাজের সময় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়। তবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সেদিন রাতে মশার কয়েল জালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমাদের পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। তোফাজ্জল পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি চারকন্যা সন্তানের জনক। স্বামী-স্ত্রীসহ তার ছোট তিন মেয়েই দগ্ধ হয়েছে। স্বামীর বাড়িতে থাকায় ভাগ্যক্রমে আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন বড় মেয়ে। তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে।