শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ মে, ২০২৫ ( বাসস): রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় ছোট মেয়ের পর মা মানসুরা বেগম (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের (এইচ ডি ইউ) হাই ডিপেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই দিনই বিকেল তিনটার দিকে মারা যায় তার ছোট মেয়ে তানজিলা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার শাওন বিন রহমান জানান, মানুসরার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল।শ্বাসনালী ও খাদ্য নালী পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন তোফাজ্জল ৮০ শতাংশ, মেয়ে তানিশা ৩০ শতাংশ ও মিথিলার ৬০ শতাংশ দগ্ধ আছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মধ্যরাতে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দ নগর আনসার ক্যাম্প বাজার সংলগ্ন একটি তিন তলা বাসার নিচ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মানসুরা আক্তার (২৮), স্বামী তোফাজ্জল হোসেন (৩২)। তিন মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৮) ও তানজিলা (৪)। তানজিলা রোববার বিকেলে মারা যায়।
মানসুরার বড়ো মেয়ের জামাই মোহাম্মদ রিপন বলেন, ‘আমাদের ভাড়া বাসার পাশে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। খোঁড়াখুঁড়ির কাজের সময় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়। তবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। সেদিন রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমাদের পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন।’
তিনি বলেন, তোফাজ্জল পেশায় একজন দিনমজুর। চারকন্যা সন্তানের জনক। গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্বামী- স্ত্রী ও তার ছোট তিন মেয়েই দগ্ধ হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে থাকায় ভাগ্যক্রমে আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন বড় মেয়ে। তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে।