শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা দেশে হযরত ওমর (রা.) এর মতো ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর এ কাজ করতে গেলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, মত-পথ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ জন্য সকলকে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে যুব সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, বিশ্বের যত বড় বড় অর্জন সব এসেছে যুব সমাজের হাত ধরেই। তাই দেশ ও জাতির এমন ক্রান্তিকালে দেশের নতুন প্রজন্মকেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাফরুলের তালতলা হালিম ফাউন্ডেশন স্কুল মাঠে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
তিনি জামায়াতের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালা ভয় ও জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে। দুনিয়ার কোন পরাশক্তির কাছে মাথানত করা হবে না। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে নতুন প্রজন্মকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
থানা আমির উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবু নাহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা উত্তর থানার আমির আব্দুল আউয়াল আজম, কাফরুল জোন পরিচালক শ্রমিক নেতা মিজানুর রাহমান, ছাত্রনেতা নবীন, কাফরুল থানা জামায়াত নেতা সালাউদ্দিন শাহিন, জাকির হোসেন, রুহুল আমীন, এনামুল হক ও আবু সাঈদ খুদরী।
জামায়াতে ইসলামী দেশে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন- সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মোমিন জীবনের প্রকৃত সাফল্যই হচ্ছে শাহাদাত। মূলত, নবুয়াতের দরজা বন্ধ হলেও এখনো শাহাদাতের দরজা বন্ধ হয়নি। আর শাহাদাতের মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদার। তাই মরতে যখন হবেই তখন আমাদের সকলের শাহাদাতের মৃত্যুই কাম্য।
তিনি নিজের জন্য শাহাদাতের তামান্নার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি একজনেরও শাহাদাতের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে শাহাদাত যেন আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যই নসিব করেন। তিনি সকলকে শাহাদাতের তামান্না উজ্জীবিত হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।