শিরোনাম

ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিলাদির বিস্তারিত নির্দেশনা জানিয়ে পরিপত্র জারি করেছে কমিশন।
ইসি’র জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খানআবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রটি গত সোমবার জারি করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ণের জন্য অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র (নিবন্ধন ফরম২ক), বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফাইড), মেয়াদসম্বলিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি, বিদেশি পাসপোর্টের কপি অথবা সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী তিন জন বাংলাদেশি এনআইডিধারীর স্বাক্ষরিত নাগরিকত্ব প্রত্যয়নপত্র (নির্ধারিত ফরমে) আবশ্যক হবে।
এছাড়া আবেদনকারীর পিতা-মাতার এনআইডি’র কপি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ (মৃত হলে), পাসপোর্ট কপি, ওয়ারিশ সনদ বা বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি দিতে হবে।
এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদ (এসএসসি/সমমান, জেএসসি বা পিইসি সনদ), নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ এলাকা (চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬ উপজেলা/থানা)-এর জন্য বিশেষ তথ্য ফরম, নিকাহনামা ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেয়র, সিইও বা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত) এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সম্বলিত ইউটিলিটি বিল বা হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদের কপি প্রয়োজন হতে পারে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, মিশন অফিস থেকে প্রাপ্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুসারে নির্ধারিত তারিখে আবেদনকারীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত আবশ্যকীয় দলিলাদি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে (মিশন অফিসে) জমা দিতে হবে এবং ছবি ও বায়োমেট্রিকস (দশ আঙুলের ছাপ, আইরিশ, স্বাক্ষর) প্রদান করতে হবে।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলাদিও নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দেয়া যাবে। তবে প্রয়োজনে আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধি উক্ত দলিলাদি তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা রেজিস্ট্রেশন অফিসার (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার)-এর কাছে জমা দিতে পারবেন।
এছাড়া প্রবাসীদের জন্য নির্ধারিত ফরম২ক এ প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে, যা নিবন্ধনের জন্য বাধ্যতামূলক।