শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করার খবর সঠিক নয়।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। বরং ২০১৮ ও ২০২২ সালের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার যে বিকৃতি করা হয়েছে, তার সংশোধন করে ১৯৭২ সালের তৎকালীন সরকারের নির্ধারিত সংজ্ঞায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালের কণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয়, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি সহ শতাধিক নেতার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে আজ আখ্যায়িত করেছে।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও কালের কণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।
ফারুক ই আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী-সবার মর্যাদা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সরাসরি যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তাঁদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হয়েছে। তবে মুজিবনগর সরকার, বীরাঙ্গনা এবং মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসকদের সহায়কদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।