বাসস
  ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৮

বরিশালে শীত আর হিমেল বাতাসে দিশেহারা শ্রমজীবী মানুষ

ছবি: বাসস

বরিশাল, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে জেলায় থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। এতে নিদারুণ কষ্টে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

আজ রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল শনিবার ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে জেলায় শীতের দাপট বেড়েছে। সকালে কুয়াশা কমলেও বেড়েছে ঠান্ডা। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। দিনের বেশির ভাগ দেখা মিলছেনা রোদের। হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। 

এদিকে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার রাস্তাঘাটে শ্রমজীবী মানুষের দেখা মিললেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম ছিল। হঠাৎ করেই জেলায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন কেউ। 

হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীদের চাপ। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। 

নগরীর নতুন বাজার এলাকার অটোরিকশা চালক সোহেল জানান, গত দুই তিনদিন ধরে বরিশালে এমন ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাস্তায় লোকজনও তেমন বের হচ্ছে না। এতে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে আয় রোজগার কমে গেছে।

নগরীর সদররোড এলাকার রিকশা চালক লিটন বলেন, খুব শীত পড়েছে। এতো বাতাস হচ্ছে সবাইকে একেবারে কাবু করে ফেলেছে। এরমধ্যে গাড়ি চালানোই কষ্ট। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় বলেন, বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেসময় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।’ এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার পর্যন্ত জেলায় কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। এ সময় পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন।