বাসস
  ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫২

শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

ছবি : বাসস

রাজশাহী, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

এছাড়া, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে শিশুদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে জাতীয় পর্যায়ের নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।

শিশু যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধে অর্জিত শিক্ষা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রকল্প সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা আজ এসব কথা বলেন।

ইসিপ্যাট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় ‘চিলড্রেন নো বেটার : মেকিং চাইল্ড পার্টিসিপেশন দ্য কী টু ইমপ্রুভিং ইফেক্টিভনেস অব অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া ক্লাব সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সবুর আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শরীফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরা খাতুন এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুরুল কাদের। 

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়ক আলী আহমেদ। আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন এসিডি (অ্যাডভোকেসি, লবি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং)-এর  টিম লিডার (সুব্রত কুমার পাল।

উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো- শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, সুরক্ষা নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিশুদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যাতে তারা সহিংসতা, শোষণ, নির্যাতন ও অবহেলা থেকে নিরাপদ থাকে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুরা শুধু যৌন নির্যাতনের শিকার নয়, বরং সমাধান চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করতে সহায়ক হতে পারে।
মূল লক্ষ্য ছিল শিশুদের নেতৃত্বগুণ তৈরি করা এবং অংশগ্রহণমূলক গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদেরকে যৌন শোষণ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলা।

এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণমূলক গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিশুদের নেতৃত্বের দক্ষতা গড়ে তোলা এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।