বাসস
  ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৪১

চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জ এলাকা শিগগিরই জলাবদ্ধতামুক্ত হচ্ছে : চসিক মেয়র

ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নগরীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কাতালগঞ্জসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা শিগগিরই জলাবদ্ধতামুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

আজ শনিবার নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকায় হিজড়া খাল সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এলাকাবাসীর উদ্দেশে চসিক মেয়র বলেন, ‘এবছর বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা অনেক কমে আসলেও কাতালগঞ্জে পানি উঠেছিল। সেসময় আমি নিজে পানিতে নেমে নালা পরিষ্কার করেছি, জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধান করেছি। পরিষ্কার করার পরও যখন পানি উঠেছে- তখনই বুঝেছি, সাময়িক নয় স্থায়ী সমাধান দরকার।

তিনি বলেন, ‘স্থায়ী সমাধান হিসেবে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড ৩৬টি খাল খননের প্রকল্পের অংশ হিসেবে হিজড়া খালটি খনন, সম্প্রসারণ ও সংস্কার করছে।

হিজড়া খালটি গোল পাহাড়-মেহেদীবাগ এলাকা থেকে শুরু হয়ে কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ, দামপাড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বাকলিয়া, চকবাজার, কাপাসগোলা হয়ে ফুলতলী-চাক্তাই খালে গিয়ে মিলিত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, ‘হিজড়া খালের প্রকৃত প্রস্থ প্রায় ৩০ ফুট। কিন্তু দখলের কারণে অনেক জায়গায় তা ১২ থেকে ১৫ ফুটে নেমে এসেছে। আরএস, পিএস ও বিএস ম্যাপ অনুযায়ী খালকে তার মূল প্রস্থে ফিরিয়ে আনতেই এই সংস্কার। এজন্য কিছু স্থাপনা আংশিকভাবে অপসারণ করতে হবে। এটি কারো বিরুদ্ধে নয়; বৃহত্তর জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।’

মেয়র স্পষ্ট করে বলেন, ডক্যুমেন্টের বাইরে গিয়ে কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা এক ইঞ্চি জমিও নেবে না। যেটুকু খালের জায়গা ম্যাপে আছে, শুধু সেটুকুই নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়েও আমরা প্রস্তুত। কিন্তু খালের জায়গা দখল করে রাখা যাবে না- এটি জনগণের অধিকার।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ মঈনুদ্দিন, বিএনপি নেতা মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ। 

পরিদর্শনের পর মেয়র মশক নিধন কার্যক্রমে অংশ নেন।