শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বের টেকসই উন্নয়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মত দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা কর্ম প্রদর্শন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে আয়োজিত এ কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।
কনফারেন্সটি প্লেনারি সেশন, সায়েন্টিফিক সেশন, পোস্টার সেশন এবং ওরাল ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড সেশনে বিভক্তভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সায়েন্টিফিক সেশনগুলোর উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহের মধ্যে রয়েছে— অ্যানিমেল সায়েন্সেস; ম্যারিন রিসোর্সেস ও ব্লু ইকোনমি; বায়োকেমিস্ট্রি, জেনোমিকস ও বায়োইনফরমেটিক্স ইন বায়োসায়েন্সেস; ডায়নামিক অব হিউম্যান বিহেভিয়ার ইন অ্যা চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড; জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস; জিওস্পেশিয়াল ডাইমেনশন অব সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: ক্লাইমেট, সিটিজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট; মাইক্রোবায়োম অ্যান্ড পাবলিক হেলথ; ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, ফার্মাকোভিজিল্যান্স অ্যান্ড মডার্ন ড্রাগ ডিসকভারি; এবং প্ল্যান্ট-বেইজড সলিউশনস ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, এ কনফারেন্সে সমসাময়িক বহু গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে গভীর আলোচনা হচ্ছে, যা বর্তমান বিশ্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অডিটোরিয়ামের নির্মাণকাজ চলমান থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেমে না থেকে মনোরম পরিবেশে তাঁবুর নিচে কনফারেন্স আয়োজন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কনফারেন্সের প্রতিপাদ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডই আজ মানুষ ও পৃথিবীর জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, টেকসইতা কোনো বিকল্প নয়, এটি একটি অপরিহার্য প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন কেবল একাডেমিক সাফল্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং উদ্ভাবন, নীতিনির্ধারণ ও মানবসেবার মাধ্যমে একটি টেকসই বিশ্বের নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের এমন সম্মেলনে আমরা যে পরিমান সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত। বিশ্বের প্রায় আটটি দেশ থেকে গবেষকরা এখানে এসেছেন। ৭৬০ জন এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এত পরিমাণ সাড়া আমাদের ধারণা থেকেও অনেক বেশি। এর মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে। সবাই খুব ভালো প্রশংসা করেছে এবং সবার থেকেই ইতিবাচক সাড়া আমরা পেয়েছি। আমাদের সরকার, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে সামনের দিকেও আমরা এমন আয়োজন করতে পারব।