বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৩

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি পরিবেশগত দায়বদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য দেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রকৌশল শিক্ষাকে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল হতে হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কোয়ালিটি এসুরেন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন থ্রু এক্টিডিটেশন’ শীর্ষক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রকৃত অর্থে প্রকৌশল শিক্ষার মান তখনই নিশ্চিত হবে যখন তা পরিবেশগত ন্যায়বিচার, সামাজিক সাম্য ও জলবায়ু সহনশীলতাকে প্রতিফলিত করবে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের মত ভূমিকম্প-ঝুঁকি, নদীভাঙন ও জলজটপ্রবণ এলাকায় দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষায় প্রকৌশল উদ্যোগগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাব, স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতেই হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সিম্পোজিয়াম থেকে পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর সুপারিশ পাওয়া যাবে। এটি দেশকে স্থায়ী উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে প্রকৌশলীদের আরও অর্থবহ অবদান নিশ্চিত করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আরলিংটনের সেং হুয়াং এনডাউড প্রফেসর ড. নুর ইয়াজদানি; ডাবলিন অ্যাকর্ডের চেয়ার প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মেগাত জোহরি মেগাত মোহদ নূর এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান। বিএইটি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তানভীর মঞ্জুর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমাদের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাত্ত্বিক শিক্ষার পরিমাণ বেশি হলেও ব্যবহারিক দক্ষতা ও শিল্পখাতের সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। এই গ্যাপ কমাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি জানান, শিল্পখাতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই ব্যবধান দূর হলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একই সঙ্গে ফয়েজ আহমদ আশা প্রকাশ করেন যে দুদিনের এই আলোচনা ও আয়োজন থেকে গুরুত্বপূর্ণ নীতি-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সিম্পোজিয়াম শেষে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকৌশল শিক্ষা আধুনিকায়ন ও স্বীকৃতি কাঠামোতে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।