শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ড্যান্ডি ডায়িংয়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের ৪৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠান সোনানী ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক সাদেকিন হাবিব বাপ্পি মামলাটি প্রত্যাহার আবেদন মঞ্জুর করেন।
আজ মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ড্যান্ডি ডায়িং ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে দেওয়ায় আমরা সোনালী ব্যাংকের পক্ষে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করি। আদালত প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মোস্তাক আহম্মেদ কয়েল বাসসকে বলেন, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে তাদের আইনজীবী মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
মামলায় বিবাদী হিসেবে থাকা আরাফাত রহমান কোকা মারা যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আদালতে পক্ষভুক্তের আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসান আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন।
২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদির বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করেন আদালত।
মামলার বিবাদীরা হলেন-ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।