বাসস
  ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৩০
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:০৪

নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রদূত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান : সেলিমা রহমান

বিএনপ’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান শনিবার বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নারী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ছবি : বাসস

বগুড়া, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের প্রকৃত অগ্রদূত।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম নারীর ক্ষমতায়নকে রাষ্ট্রীয় নীতির পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে নারীরা সমাজ ও রাষ্ট্রে এগিয়ে যাওয়ার ভিত্তি পায়। আর তার সহধর্মিনী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উপবৃত্তি চালু করে মেয়েদের শিক্ষার দুয়ার আরও প্রসারিত করেছিলেন।

শনিবার দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত নারী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।  

সমাবেশস্থল ছিল উপচেপড়া নারীর উপস্থিতিতে মুখরিত; প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই সমাবেশে যোগ দেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত নারীবান্ধব নীতির কথা তুলে ধরে সেলিমা রহমান বলেন, নারীর নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন, অনলাইন হয়রানি প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে বিএনপি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করবে। প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে ফ্যামিলি কার্ড, যার মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবেন।

তিনি অভিযোগ করেন, গত সতেরো বছর মানুষ প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অবিচল থাকার অপরাধে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এই আন্দোলন আর থেমে নেই।

বগুড়ার গৌরবের কথা স্মরণ করে সেলিমা রহমান বলেন, এই বগুড়াতেই জন্মেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই জেলা গর্বের সঙ্গে বহন করে তার স্বাধীনতার চেতনা ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।

সমাবেশে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।