শিরোনাম

খুলনা, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় কর্তৃক ১১ টি টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২০ টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানকালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, আলু, দেশি পেয়াজ, সবজি, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং ঔষধ, ডায়াগনস্টিক, সহ সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সূত্র জানান, গতকাল খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার এম এ বারি সড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আহসানিয়া ভাই ভাই স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা এবং অটো ডাইনামিক কে ভেজাল পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ৫০ জরিমানা আরোপ করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আপ্যায়ন জম জম মিষ্টি ঘরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার ডে নাইট কলেজ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে অংকন মেডিকেল হল কে ৪ হাজার টাকা ও আল-আমীন ফার্মেসি কে ২ হাজার টাকা এবং আজম ডেন্টাল কেয়ারকে সেবা গ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কার্য করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স লিয়ন স্টোরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৭ হাজার টাকা এবং মেসার্স বিস্কুট ঘরকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার খুলনা রোড মোড় বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল স্টোর কে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রয় করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কুশাবাড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে আরিফ স্টোরকে ২ হাজার টাকা এবং সোহান স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স নুর এন্টারপ্রাইজ কে সেবা গ্রহীতার জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করার অপরাধে ১৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স গ্রীন ফুড ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার মজমপুর ও আইলচরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইনটেক বেকারি কে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন ও পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ১৮ হাজার টাকা এবং রাজুর মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে সদর উপজেলার রেলরোড বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজী বিরিয়ানি হাউজ কে কে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করার অপরাধে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার ধর্মতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তুষার এন্টারপ্রাইজকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার বাহিরগ্রাম বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স সোহাগ স্টোরকে ৪ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স মা বাবার দোয়া স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স পাপ্পু স্টোরকে ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বাসসকে বলেন, তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।