শিরোনাম

রাজশাহী, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): টিকটকে তিন মাসের পরিচয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জিল্লুর রহমানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামের আশরাফের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার র্যাব-৫ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নারীর গত ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও সংসারে বনিবনা না হওয়ায় ২ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরে বগুড়ার দুপচাচিয়া মাজিনদা সারপুকুর বাজারে ওই নারী ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। ৩ মাস আগে আসামি জিল্লুরের সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের সূত্র ধরে মোবাইলে দুই জনের কথাবার্তা হতো। কথাবার্তার একপর্যায়ে দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিয়ে করবে বলে আসামি ওই নারীকে ঈশ্বরদীতে আসতে বলে।
তার কথামত গত ৯ অক্টোবর রাতে ওই নারী ঈশ্বরদীতে পৌঁছালে আসামি তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরি করে। পরদিন ১০ তারিখ দুপুরে ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুড়িয়া বাজারস্থ একটি ফ্লাটের কক্ষ ভাড়া নিয়ে ১৩ তারিখ দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এরপর ওই নারী বিয়ের কথা বললে আসামি কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমের মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওই নারী ঈশ্বরদী থানায় জিল্লুরের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তাকে রাজশাহীর পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।