বাসস
  ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৫

মেহেরপুরে লাঠির লড়াই ছড়ালো মুগ্ধতা 

লাঠির লড়াই ছড়ালো মুগ্ধতা । ছবি : বাসস

মেহেরপুর, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : লাঠির লড়াইও যে মুগ্ধতা ছড়াই সেটি শুধুমাত্র লাঠিখেলা দেখলেই বোঝা যায়। আর গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে মেহেরপুরের গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ লাঠিখেলা ।

গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী ফুটবল মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লাঠিখেলা দেখতে আশপাশ ও দূরদূরান্তের চারটি লাঠিয়াল দল এ খেলায় অংশ নেয়।

ঢাকঢোল ও কাঁসার বাজনার তালে নাচেন লাঠিয়াল দলের সদস্যরা। লাঠির বিশেষ কসরতে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে রক্ষা ও প্রতিহতের উন্মাদনা চলে। আর এ দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করেছে দূরদূরান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার দর্শক।

ঢাক-ঢোলের বাজনায় ও গানের তালে তালে এ লাঠি দিয়ে চলছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কেউ কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তালে-তালে। হাতে তালি ও হইহুল্লোড়ে লাঠিয়ালদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন হাজারো দর্শক। ব্যাপক জনসমাগমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে যেন এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

প্রবীণ লাঠিয়াল মো. বাবু জানান, এক সময় আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে লাঠিখেলা প্রচলিত ছিল। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে লাঠিখেলা এখন শুধুমাত্র প্রদর্শনী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লাঠিয়াল দলগুলো আরও ভালো করবে। বিশ্বে বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরবে বলে মনে করেন এই খেলোয়াড়।

ভোমরদহ গ্রাম থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শক লিজন রহমান জানান, বিলুপ্তপ্রায় লাঠিখেলা হবে শুনে খেলা দেখতে এসে তিনি মুগ্ধ। এই লাঠিখেলাকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। 

গাংনী বাজারপাড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা বলেন, হাজারো দর্শক ভিড় জমিয়েছে এই খেলা দেখতে। এ খেলাকে আগামীতেও বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।