শিরোনাম

শেরপুর, ২ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ টানা ভারি বৃষ্টিতে শেরপুর সদরসহ ৪ উপজেলার আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৯ (বুধবার) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অমনের ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন ও টমেটোসহ আগাম শীতকালীন সবজি। পাশাপাশি লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মূলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এছাড়া সদ্য রোপণকৃত আলু, সরিষা, পেঁয়াজ ও রসুনের বীজতলা নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
কৃষকরা জানান, টানা বৃষ্টিতে বেশিরভাগ নিচু জমিতেই পানি জমে রয়েছে। ফসলের ক্ষেত থেকে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন তারা। এ ছাড়াও মাঠের আধা-পাকা ধান হেলে পড়েছে। কেটে ফেলা আমন ধান জমিতে পঁচে নষ্ট হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত দাম নিয়ে শংকায় রয়েছেন কৃষকেরা। এছাড়া আগামী দিনে গো খাদ্যের সংকটের কথাও জানিয়েছে তারা।
শেরপুর সদরের কামারের চর ইউনিয়নের লতারিয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫০) বলেন, ধার দেনা করে দুই একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলাম। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে এখনো জমিতে হাঁটু সমান পানি। ইতিমধ্যে ধান ও গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে। আগামী দিনে গো খাদ্যের সংকট পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সদরের লছনপুর ইউনিয়নের ছোট ঝাউয়ের চর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী (৪৫) জানান, দুই বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করেছি। টানা বৃষ্টিতে জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে টমেটো, বেগুন, সিম, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাল শাক, মূলা শাক গাছ হেলে পড়েছে। এছাড়া পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে না গেলে এসব সবজি গাছে পচন ধরতে শুরু করবে।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, কার্তিক মাসে সাধারণত হালকা বৃষ্টি হলেও নিন্মচাপের কারণে এ বছরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ইতমোধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সহায়তা করা হবে।