বাসস
  ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:২৯

কুয়াকাটায় ৪ নভেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব শুরু

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব । ছবি : বাসস

পটুয়াখালী, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজন রাস পূর্ণিমা ও রাসমেলা। চার দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আয়োজকরা জানান, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চার দিনব্যাপী এ উৎসব চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মণ্ডল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি এটি এখন কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন ও সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসিন সাদেক, ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদ হাসান এবং কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম.এ. মোতালেব শরীফ।

আয়োজকরা জানান, রাস উৎসব উপলক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস পূজা এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একত্রিত হয়ে এই উৎসব উপভোগ করেন, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পকে সচল রাখে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, উৎসবকে ঘিরে বিপুল জনসমাগম হয়। এজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ বলেন, রাস উৎসব কুয়াকাটার ঐতিহ্যের অংশ। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে উৎসব উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটা সৈকতে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মিলনমেলার এক মনোরম পরিবেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্ত ও পর্যটকরা গঙ্গাস্নান ও পূজায় অংশ নেন, যা উপকূলীয় কুয়াকাটাকে এক উৎসবমুখর শহরে পরিণত করে।