শিরোনাম

খুলনা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা অঞ্চলের চারটি জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে রোপা আমন (টি-আমন) ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং নড়াইল জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৭ হাজার ৮০৫ টন। কৃষকরা ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। যা নির্ধারিত কৃষি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ হাজার ২৩৯ হেক্টর বা ২.৭৮ শতাংশ কম।
বটিয়াঘাটা এবং দাকোপ এলাকার ধানক্ষেত ঘুরে কৃষকদের ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা এবং সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।
এদিকে, বৃষ্টিপাতের পর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৯৭.২ শতাংশ অর্জন করা হয়েছে। যদিও খরার কারণে মৌসুমের প্রাথমিক ও মাঝামাঝি সময়ে আমন চারা রোপণ ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে চাষীরা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে ফসল কাটছেন এবং ধানের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন, যা তারা আশাও করেননি।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের কৃষক শহিদুল আলম প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৮ মণ আমন ধান কেটেছেন, যেখানে গত বছর ফলন হয়েছিল ১৭ মণ। তিনি এই মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন।
দাকোপ উপজেলার কলাবগী এলাকার কৃষক হামিদ মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় বা ঘণ কুয়াশা আসার আগেই ফসল শেষ করার লক্ষ্যে কৃষকরা তাদের স্কুলগামী শিশুদেরও ফসল কাটার কাজে নিয়োজিত করছেন।
খুলনা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বাসসকে বলেন, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৪৪ হেক্টর জমিতে ধান কাটা হয়েছে অর্থাৎ ১৩.৫ শতাংশ ধান কাটা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ, ফসল ব্যবস্থাপনা এবং উন্নতমানের বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এছাড়া অনুকূল জলবায়ু, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উচ্চমানের বীজের সঠিক বিতরণ এবং কৃষকদের সময়মতো সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হয়েছে।