শিরোনাম

খুলনা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নবনির্মিত খুলনা জেলা কারাগারের কার্যক্রম আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই কারাগার সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় কারা অধিদপ্তরের কারা-উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) মো. মনির হোসেন এ কারাগারের উদ্বোধন করেন।
পুরানো কারাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত ১শ’ কয়েদিকে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েদিদের প্রিজন ভ্যানে করে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে।
নাসির উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যেই সেখানে ৮৩ জন কারারক্ষী এবং একজন ডেপুটি জেলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সুপার ও জেলার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে পুরানো কারাগারের সুপার ও জেলার দুটি কারাগারেই দায়িত্ব পালন করবেন। কারাগার দুটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য, ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জেলখানা ঘাটের কারাগারটি ‘খুলনা মহানগর কারাগার’ হিসেবে চালু থাকবে। ১৯১২ সালে নির্মিত কারগারটির বন্দি ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন। কিন্তু সেখানে বর্তমানে ১৪০০ বন্দি রয়েছে। যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশি। নতুন কারাগার চালু হওয়ায় এ সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক এই কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কারাগারটিতে মোট ৫২টি অবকাঠামো রয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি থাকতে পারবে। এটিকে সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট ছাড়াও কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।
নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানের জন্য বিদ্যালয় ও ডে- কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানের জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকবে।