শিরোনাম

নীলফামারী, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের রেলওয়ে খাতে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার কারখানার বিভিন্ন কার্যক্রম ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর এডিবি উইং চীফ এস এম জাকারিয়া হক এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হুই ইউন জিওং।
কারখানা পরিদর্শনে এসে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, কর্ম ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউএম) মমতাজুল হকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন এডিবির প্রিন্সিপাল ফাইনান্সিয়াল সেক্টর অফিসার মারুফ হোসাইন, সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার (আরবান) অমিত দত্ত রায়, অ্যাসোসিয়েট ওয়াটার রিসোর্স অফিসার সোহেল রানা, অ্যাসোসিয়েট প্রজেক্ট অফিসার (এনার্জি) মশিউর রহমান, সিনিয়র অপারেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট নাশিয়াত আল সাফওয়ানা চৌধুরী এবং অপারেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট দিপা হেমব্রোম।
পরিদর্শনকালে দলটি কারখানার বগি ও ওয়াগন শপ, ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন শপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘুরে দেখেন। পরে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তাঁরা।
সভায় ডিএস শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ ও ডাব্লিউএম মমতাজুল হক কারখানার সার্বিক কর্মকাণ্ড, চ্যালেঞ্জ, উন্নয়ন সম্ভাবনা এবং প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
ডিএস শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, কারখানার দুটি উপ-কারখানা সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন এবং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এডিবি প্রতিনিধি দল সেই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এসেছে। তারা আমাদের প্রস্তাবনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা ও অবকাঠামোতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। স্থানীয়ভাবে রেল কোচ, বগি ও ওয়াগন উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রেলওয়ে ওয়ার্কশপ। বর্তমানে কারখানাটি পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে রেল কোচ ও বগির রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রেল ইঞ্জিনিয়ারিং হাবে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।