শিরোনাম
ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাপান সরকারের সহায়তায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু ও কলেরা কিট এবং স্যালাইনসহ ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডেঙ্গু, কোভিড-১৯ ও অন্যান্য উদীয়মান সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেডক্রস স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে।
জাপান সরকার এবং এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (এএসইএফ)-এর উদার সহায়তায় এই উদ্যোগটি সম্ভব হয়েছে।
চিকিৎসা সামগ্রী মধ্যে রয়েছে-১ লক্ষ ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্ট কিট, ৬৮ হাজার কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট, ২৫ হাজার আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, ২ লক্ষ ২০ হাজার কলেরা চিকিৎসার সামগ্রী ও স্যালাইন সলিউশনসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী।
এছাড়াও, পাঁচটি প্রধান সরকারি হাসপাতাল তথা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বরিশাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ (গাজীপুর), খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-কে হেমাটোক্রিট টেস্টিং ডিভাইস ও বেডসাইড আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সহায়তা বিডিআরসিএস ও আইএফআরসি’র নেতৃত্বে পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের একটি অংশ, যা সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তুতি ও দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রী সময়মতো পাওয়া যায়।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের মিস্টার তাকাহাশি নাওকি, যিনি বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য জাপানের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো— এই উদ্যোগগুলোকে টিকিয়ে রাখা ও প্রসারিত করা, যাতে দুর্বল সম্প্রদায় ও স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দেশগুলোকে সাহায্য করা যায়।’
অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর, জাপান দূতাবাস, আইএফআরসি, বিডিআরসিএস ও এএসইএফসহ অংশীদারদের সময়োপযোগী চিকিৎসা সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর বলেন, ‘এই সহায়তা ডেঙ্গু, কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা ভবিষ্যতে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।’
বিডিআরসিএস-এর স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের দ্বারা জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম বলেন, ‘আমরা জরুরি অবস্থার সময় দ্রুত সাড়া দিয়ে, সরকারের একটি শক্তিশালী সহায়তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করি। কোভিড-১৯ এর সময়, আমাদের অভিজ্ঞতা কমিউনিটির প্রয়োজনে সেবার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
বাংলাদেশে আইএফআরসি ডেলিগেশনের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, এই যৌথ উদ্যোগ কীভাবে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করে তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘স্টকপাইল প্রকল্পটি বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-মিস্টার তাকাহাশি নাওকি, মিনিস্টার (ডিসিএম), জাপান দূতাবাস, মিস্টার আলবার্তো বোকানেগ্রা, হেড অফ ডেলিগেশন, বাংলাদেশ, আইএফআরসি অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ, অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, ডা. শাহানা জাফর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু হানিফ।