বাসস
  ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩৮

হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম শক্তিশালী করা হচ্ছে : স্বাস্থ্য সচিব

আজ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন । ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দুস্থ ও অসহায় রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান। 

আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবায় ‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম’ এর গুরুত্ব শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সচিব একথা জানান।

মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মধ্যে ‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম একটি দৈনন্দিন সেবাধর্মী গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, যা দরিদ্র, অসহায় ও আর্ত-পীড়িতদের সেবার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এ কার্যক্রম সহজতর করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রচুর সংখ্যক রোগীর আর্থিক সহায়তা দরকার হয়। অনেকের মোটিভেশন, কাউন্সেলিং ও ফলোআপ এর মতো মানসিক এবং চিকিৎসা শেষে পুনর্বাসনের মতো সামাজিক সেবা দরকার হয়। এজন্য দুই মন্ত্রণালয়ের হাসপাতালকেন্দ্রিক কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।

সমাজকল্যাণ সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ বলেন, গরিব রোগীদের সাহায্য করা আমাদের সকলের কাজ। সারাদেশে ৫৩৮টি ইউনিটে সমাজসেবা কার্যক্রম চলমান। এরমধ্যে জেলা পর্যায়ে ১১৮টি হাসপাতাল এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪২০টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলছে। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর আওতায় নিবন্ধিত ‘রোগীকল্যাণ সমিতি’ এর মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খান বলেন, মূলত ছয়টি রোগের চিকিৎসার জন্য বছরে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। ৬০ হাজার রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। প্রকৃত রোগীরা যেন বরাদ্দ পায় আমরা তা নিশ্চিত করি। জেলা-উপজেলায় প্রাপ্ত আবেদনকারীদের মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগ টাকা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সরাসরি আবেদনকারীদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ টাকা দেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়সমূহ থেকে গণঅভ্যুথানে শহিদ বা আহত ২ হাজার ৬৩৭ জন ছাত্র-জনতাকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৯৭টি হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রকম সহায়তা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের সমাজসেবা কার্যক্রম দৃশ্যমান করা, রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম সচল রাখা, জাকাতসহ অন্যান্য খাত থেকে আয় বৃদ্ধি করা, সেবার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সমাজসেবা কার্যক্রম জোরদার করতে পর্যাপ্ত লোকবলের প্রয়োজনীয়তা, হাসপাতালে কক্ষ বরাদ্দ ইত্যাদি বিষয় নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু জাফর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।