বাসস
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৭

যশোর হাসপাতালে এইচটিসির যাত্রা শুরু

শনিবার যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হিমোফিলায়া চিকিৎসা কেন্দ্রের (এইচটিসি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ছবি : বাসস

যশোর, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হিমোফিলায়া চিকিৎসা কেন্দ্রের (এইচটিসি) যাত্রা শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবু হাসানাত মো. আহসান হাবীব। 
এসময় হিমোফিলায়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এইচটিসি’র জন্য ১১৬ ফ্যাক্টর ইনজেকশন ভায়াল প্রদান করা হয়, যা হিমোফিলায় রোগীদের চিকিৎসায় বিনামূল্যে ব্যবহাত হবে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াতের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ( হেমাটোলজি) ডা. মারুফ আল হাসান, যশোর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ) ডা. সেলিম রেজা, ফিরোজা বারি ডিজাবেল চিলড্রেন হাসপাতালের চিফ ফিজিওথেরাপিস্ট ও বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ডিরেক্টর ইয়াসমিন আরা ডলি, হিমোফিলায়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নাজমুল আলম, সোসাইটির যশোর শাখার সভাপতি নাসের মুস্তাফিজসহ হিমোফিলায়া রোগী ও তাদের স্বজনরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শরীরে রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার জন্য ১৩টি ফ্যাক্টর বা প্রোটিন কাজ করে। শরীরের কোন স্থানে কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে রক্তক্ষরণ হওয়া এ রোগের লক্ষণ। 

বক্তারা বলেন, হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, দাঁতের রক্তক্ষরণ দেখে হিমোফিলায়া রোগী চেনা যায়। যশোর জেনারেল হাসপাতালে এইচটিসি’র যাত্রা শুরু হওয়ায় এখন থেকে এই সেন্টারে হিমোফিলায়া রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাবেন বলে বক্তারা জানান।