শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) পরিচালক পদে নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ৩৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
তবে, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে ঘাটতি থাকা কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন অথবা আপিল করার সুযোগ পাবেন জানিয়েছেন চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মনোয়ারা বেগম।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চেম্বারের নোটিশ বোর্ডে দেওয়া প্রার্থী তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৭১ জন প্রার্থী।
চেম্বার সূত্র জানায়, গত ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোয়নয়পত্র সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ বছর চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ড থেকে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব নথি ও তথ্য জমা দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন ৩৫ জন প্রার্থী। তবে, আগামী শনিবার পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ আছে তাদের। আগামী ৫ অক্টোবর প্রকাশ হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এবার নির্বাচনে নির্বাচন বোর্ড মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সাতটি তথ্য চেয়েছে।
চেম্বার সূত্র আরো জানায়, এ বছর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সত্যায়িত কর, ভ্যাট, শুল্ক পরিশোধের সনদ; পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ও ঋণখেলাপি কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল প্রত্যয়ন সনদ (সিআইবি) জমা দিতে হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা ভোগের পাঁচ বছর পার না হলে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
বাদ যাওয়া প্রার্থীদের তালিকা যাছাই করে দেখা গেছে, ৩৫ জনই বাদ গেছেন সিআইবি প্রতিবেদন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট রিটার্ন না থাকায়। এর মধ্যে ৪ জনের সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভ্যাট রিটার্ন নেই ৮ জনের এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ জমা দেননি এমন প্রার্থী ৮ জন। আবার সিআইবি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ নেই এমন ব্যবসায়ী ৩ জন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ ও ভ্যাট রিটার্ন নেই এমন ব্যবসায়ী ৪ জন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেক বলেন, প্রাথমিকভাবে অর্ডিনারি সদস্য গ্রুপে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ২৪ জন। তাদের মধ্যে আছেন— এএসএম ইসমাইল খান, শহীদুল আলম, গোলাম সরওয়ার, শওকত আলী, জামাল উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, তাওসিফ আহমেদ, আসাদ ইফতিখার, এমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ডা. এটিএম রেজাউল করিম, হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, আজিজুল হক, ওয়াহিদ মুরাদ চৌধুরী, আহমেদ রশিদ আমু, আরিফ হোসাইন, মোহাম্মদ মুসা, শফিউল আলম, রাশেদ আলী, রাকিবুল আলম, কাজী ইমরান এফ রহমান ও আহমেদ উল আলম চৌধুরী (রাসেল)।
অ্যাসোসিয়েট সদস্য গ্রুপে বৈধ প্রার্থী ৯ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আল আজাদ, শওকত আলী, সরওয়ার আলম খান, এসএম নুরুল হক, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, এসএম কামাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়ুব।
ট্রেড গ্রুপে তিনটি পরিচালক পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন— মোহাম্মদ আমিরুল হক, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ এবং এসএম শফিউল আলম। ফলে, এই পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছে না।
অন্যদিকে, অর্ডিনারি সদস্য গ্রুপে ২৪ জন, অ্যাসোসিয়েট সদস্য গ্রুপে ৮ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে। ২৪টি পরিচালক পদের মধ্যে অর্ডিনারি মেম্বার ক্যাটাগরিতে ১২ জন, অ্যাসোসিয়েট মেম্বার ৬ জন, ট্রেড গ্রুপে ৩ জন (যারা বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত) এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
চেম্বারের সদস্যদের সর্বশেষ ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। এতে সাধারণ সদস্য হিসেবে আছেন ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ৫ জন এবং ট্রেড গ্রুপে ১০ জন। বুধবার চেম্বারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেননি সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে নবায়ন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।