বাসস
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৮

নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে : সিইসি 

ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি, সিভিল সোসাইটির সংলাপ, সেনা মোতায়েন ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন।

সিইসি বলেন, রাজনীতিবিদরা চাইছেন নির্বাচন মাঠে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হোক যাতে সবাই সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। নির্বাচন কমিশন সেই ব্যবস্থা করবে এবং এ জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে। 

আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনে এক লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে এবং ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেনারা অন ডিউটিতে থাকবেন। এটি নির্বাচনকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা।’

রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে ফাউল খেলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি এবং দলের কর্মকাণ্ড থেকেই বোঝা যায় যে, তারা সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করতে চান। 

তিনি অতীতের উদাহরণ টেনে বলেন, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের শুরুতে নানা গোলমাল হলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় স্বার্থে সব শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে সিভিল সোসাইটি, নারী প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং শেষের দিকে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা হবে। 

জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বললে আমি কিছুটা কনফিউজড হই। সেখানে অন্তত অর্ধ ডজন অংশগ্রহণকারী রয়েছেন এবং লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদারও একাধিক। সময় এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি জানান, এটি বর্তমান নির্বাচনী আইনে (আরপিও) নেই। তাই আইনি সংশোধন ছাড়া এই পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে আইনি ফয়সালা চাই, তারপর পিআর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে সিইসি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে এবং ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ বিষয়ে সিইসি বলেন, অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে লুকানোর কিছু নেই। আমরা চাই নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হোক। বিদেশিরা এখানে এলে নিজেদের চোখে দেখতে পারবেন।’

নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিশ্বাস অর্জন করা।’