বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৪২

রাসুল (সা.) এর সিরাত চর্চা মানবজাতির জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অগ্রগতি, প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের কারণে মানুষের জীবন যেমন সহজতর হয়েছে, তেমনি নৈতিক অবক্ষয়, পারিবারিক সংকট, সামাজিক বৈষম্য, সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় দ্বন্দ্বও তীব্রতর হয়েছে। এ বাস্তবতায় রাসুল (সা.) এর সিরাত চর্চা মানবজাতির জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে হাসানাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিরাত অলিম্পিয়াড-২০২৫ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় সংঘাত আজকের পৃথিবীর অন্যতম বড় সমস্যা। রাসুল (সা.) মদিনায় ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের নিয়ে মদিনা সনদ প্রণয়ন করেছিলেন। এ সনদে সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত হয়েছিল। রাসুল (সা.) এর শিক্ষাই আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থান ও সহনশীলতার প্রকৃত ভিত্তি।

হাসানাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান আজহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শাইখ মুখতার আহমাদ (হাফি.), শাইখ রেজাউল করিম আবার (হাফি.), শাইখ সিফাত হাসান (হাফি.), শাইখ মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান (হাফি.), শাইখ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার (হাফি), শাইখ ফখরুদ্দিন আহমাদ (হাফি.), শাইখ নাসিরুদ্দিন হেলালী (হাফি.), শাইখ মুফতি সাইফুল ইসলাম (হাফি.), শাইখ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ (হাফি.) প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

পরে উপদেষ্টা সিরাত অলিম্পিয়াড বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও নগদ অর্থ তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এ সিরাত অলিম্পিয়াডে প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে তিনটি গ্রুপে সিলেকশন রাউন্ড, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল শেষে প্রতিটি গ্রুপে ১০ জন করে মোট ৩০ জনকে চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক গ্রুপে ১ম স্থান অর্জনকারীকে উমরাহ্ প্যাকেজ, ফার্স্ট রানার-আপকে ল্যাপটপ, সেকেন্ড রানার-আপকে ট্যাব, ৪র্থ ও ৫ম স্থান অধিকারীকে যথাক্রমে ২০ হাজার ও  ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, ৬ষ্ঠ থেকে দশম স্থান বিজয়ীদেরকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার সিরাত হয়েছে।

হাসানাহ ফাউন্ডেশন শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, ও প্রজন্মকে রাসুল (সা.) এর আদর্শে গড়ে তোলার মাধ্যমে নীতি-নৈতিকতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।