শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করা। সেজন্য প্রশাসনিক মানোন্নয়নে যতটুকু সম্পদ আছে সমন্বিতভাবে তার উৎস কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।
রোববার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে ডাক বিভাগ, বিটিসিএল, বিসিসি, টেলিটক ও আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের যাবতীয় সেবা তাদের হাতের মুঠোতে নিয়ে আসতে সরকার কাজ করছে। দেশে-বিদেশে নাগরিকরা ঘরে বসে যাতে সরকারি সেবাগুলো নিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইথড্রো-এর মাধ্যমে সকল সেবা না মিললেও বিশাল পরিবর্তন থাকবে। যেটি এপিআই সংযোগের মাধ্যমে সবাইকে যুক্ত করবে। এর নিরাপত্তা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সরকার দেখবে। ফলে ডেটা অপারেটিংয়ে একটি নতুন ইকোসিস্টেম তৈরি হবে। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে কোয়ালিটি ডেটার সমস্যা দূর করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ দমনে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। কিছুদিন আগে কুমিল্লাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাংচুর করা হয়েছে, সেটি রোধে তথ্য প্রযুক্তি বড় ভূমিকা পালন করেছে। না হলে সহিংসতা আরও বাড়ত। আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অভিজ্ঞ কমপক্ষে ৫শ’ ইঞ্জিনিয়ার আছে। বিদেশে একটি কোম্পানি মাত্র ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে বিলিয়নিওর হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে সেটি সম্ভব হয়নি।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ডেটা গভর্ন্যান্সের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শ ও সহায়তায় আইনি সংস্কার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সেবাগুলোর সমন্বয় করে ন্যাশনাল ইপিআর, ন্যাশনাল কানেকটিভিটি এবং ন্যাশনাল সার্ভিস বাউন্স করতে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ট্রেনিং প্রোগ্রাম, আইনি সংস্কার, পোস্টাল, আইসিটি ও বিটিসিএলকে কেন্দ্র করে একটি ফাইবার অপটিক কনসেপ্ট গ্রহণ করা হয়েছে। পোস্টালকে কেন্দ্র করে সিএলটিপি এবং ডিজিটাল এড্রেস মাইগ্রেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ বলেন, ব্রিটেনে এলাকা ও রাস্তাগুলো কোডিং করা থাকে। ফলে রাস্তার কোডিংয়ের এড্রেস জানলে রাস্তা এবং বাসা সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ বাসা নাম্বারিং করা থাকে। আমাদের দেশে এটি কঠিন হলেও করা সম্ভব। তাই আমরা চাচ্ছি দেশেও পোস্টাল ডিজিটালের মাধ্যমে কোডিং এড্রেসিং সিস্টেমে নিয়ে আসতে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মো. সাইদুজ্জামানসহ ডাক বিভাগ, বিটিসিএল, বিসিসি, টেলিটক ও আইসিটি ডিভিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।