শিরোনাম
/লিয়াকত হোসেন লিংকন/
গোপালগঞ্জ, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রোববার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার ১২৮৫টি মণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শেষ মূহুর্তে দিনরাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা নির্মাণশিল্পীরা।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী ও ১ অক্টোবর নবমী ও ২ অক্টোবর দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
অধিকাংশ পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির মূল কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুধু চলছে সাজ-সজ্জা ও রংয়ের কাজ। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পূজা মণ্ডপগুলো।
প্রতিমা নির্মাণশিল্পী প্রভাষ পাল বলেন, ‘খড়, ছন ও কাঁদামাটি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিমা। এখন শুধু প্রতিমার পরিপূর্ণ রূপ দিতে রং তুলির শেষ আঁচড় দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমার কাজ শেষ হবে।’
এদিকে, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে জেলার সর্বত্র এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ঘরে বাইরে পূজাকে ঘিরে চলছে ব্যস্ততা। বিপনী বিতানগুলোতে পূজার কেনাকাটা জমে উঠেছে।
সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন বিপণীবিতানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, কসমেটিক্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
বিপণীবিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ছিল চোখ পড়ার মতো ভিড়। তবে রোববার দিবাগত রাত থেকে টানা বর্ষণের কারণে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় এক হাজার ২৮৫ টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৫৩ টি, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩২১ টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৫ টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২২৪ টি ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯০ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা শেষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার এক হাজার ৭৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটিতে থাকবে। এছাড়া র্যাব-সেনাবাহিনী টহলে থাকবে।