বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫

লক্ষ্মীপুরে রাতভর ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে মানুষ

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে লক্ষ্মীপুরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি। ছবি: বাসস

লক্ষ্মীপুর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে জেলাজুড়ে রাতভর ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পথঘাট ডুবে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দারা। 

আবহাওয়া অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিলিমিটার।  কখনও ভারী, কখন হালকা আবার কখন মাঝারি ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কমছে তাপমাত্রাও। এদিকে রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে পৌর শহরের বাঞ্ছানগর, সমসেরাবাদ, কলেজ রোড, মজুপুরসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পৌরবাসী।

পৌরসভার বাসিন্দা নুরুল আলম ভূলু বাসসকে বলেন, রাতভর বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশন না হওয়ায়  পৌরবাসীর এই ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। 

একই এলাকার বাসিন্দা রাসেল হোসেন ও কহিনুর বেগম জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরসহ পৌর প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।   

এলাকার আদর্শ সামাদ অ্যাকাডেমির ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান বাসসকে বলেন, দীর্ঘক্ষণ স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বের হতে পারছি না। আবার জলাবদ্ধতার কারণে পথেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার। 

রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা মো. সৌরভ হোসেন বাসসকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এই কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি আরো ৫/৬ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যেসব জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে দ্রুত পৌরসভার পক্ষ থেকে কাজ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেন পৌরবাসীকে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়তে হয়। আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি।